Wellcome to National Portal
কৃষি তথ্য সার্ভিস (এআইএস) গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার
Text size A A A
Color C C C C

মুগ ও মাসকলাইয়ের পোকামাকড় পরিচিতি ও দমন ব্যবস্থাপনা

মুগ ও মাসকলাইয়ের পোকামাকড় 
পরিচিতি ও দমন ব্যবস্থাপনা
ড. মোঃ আলতাফ হোসেন
ডাল ফসল সৃষ্টিকর্তার আশির্বাদপুষ্ট ফসল। মাটি, গবাদি ও মানুষের পুষ্টি নিরাপত্তায় এবং স্বাস্থ্যসুরক্ষায় ডালের গুরুত্ব অপরিসীম। বাংলাদেশ সাধারণত গ্রীষ্মকালে মুগ ও মাসকলাইয়ের চাষ হয়ে থাকে। এ ফসলগুলো প্রায় ১২ প্রজাতির পোকামাকড় দ্বারা আক্রান্ত হয়ে ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়ে থাকে। সুতরাং টেকসই উৎপাদন স্থিতিশীলতায় পোকামাকড়ের আক্রমণ অত্যন্ত গুরুত্ব বহন করে। এজন্য কাক্সিক্ষত উৎপাদন নিশ্চিতকরণে আক্রমণকারী বিভিন্ন পোকামাকড় পরিচিতি, তাদের ক্ষতির ধরন ও প্রকৃতি, ব্যাপকতা এবং দমন ব্যবস্থাপনা সম্পর্কে সম্যক ধারণা থাকা আবশ্যক। আর সেই ধারণা দিতেই আক্রমণকারী বিভিন্ন ধরনের পোকামাকড়ের পরিচিতি ও ব্যবস্থাপনা কৌশল নি¤েœ উল্লেখ করা হলো। 
ফ্লি-বিটল 
দু’টি প্রজাতির ফ্লি-বিটল যথা ক্রুসিফার ফ্লি-বিটল এবং স্ট্রাইপ ফ্লি-বিটল ডাল ফসলের ক্ষতি করে থাকে। এদের কীড়া গাছের শিকড় খেয়ে এবং পূর্ণবয়স্ক পোকা পাতা খেয়ে ক্ষতি করে। কীড়া মাটিতে বসবাস করে এবং পোষক গাছের শিকড় খেয়ে ক্ষতি করে থাকে। পূর্ণবয়স্ক পোকা অঙ্কুরোদগমকৃত কচি চারার বীজপত্র এবং কচি পাতা অসম গোলাকার ছিদ্র করে খায়। এমনকি এরা কচি চারার বর্ধিষ্ণু ডগাটিও নষ্ট করে থাকে, এতে চারা বৃদ্ধিপ্রাপ্ত হতে পারে না। বয়স্ক পাতায় আক্রমণের তীব্রতা বেশি হলে পাতা শুকিয়ে গিয়ে গাছের বৃদ্ধি বাধাগ্রস্ত হয় এবং ফলন কমে যায়। 
দমন ব্যবস্থাপনা 
 ফসলের জমিকে অবশ্যই আগাছামুক্ত রাখতে হবে। এতে পোকার আশ্রয়ের জন্য প্রতিকূল পরিবেশ তৈরি হয়ে পোকার সংখ্যা কমে যাবে। 
য় আক্রমণের তীব্রতা বেশি হলে ডাইমেথয়েট যেমন- টাফগর ৪০ ইসি অথবা কার্বোসালফান যেমন- মার্শাল ২০ ইসি প্রতি লিটার পানিতে ২ মিলিলিটার হারে মিশিয়ে স্প্রে করে পোকার আক্রমণ নিয়ন্ত্রণ করা যায়।
চারার থ্রিপস্ 
অপূর্ণ বয়স্ক থ্রিপস ছোট আকৃতির লম্বাটে পোকা, যারা দৈর্ঘ্য প্রায় ০.৫-১.২ মিলিমিটার। পূর্ণবয়স্ক থ্রিপস আকারে প্রায় ২ মিলিমিটার, গায়ের রং হালকা হলুদ থেকে গাঢ় বাদামি। চারা বের হওয়ার পরপরই চারার থ্রিপস পোকার আক্রমণের সূত্রপাত হয়। তবে লক্ষণ প্রকাশ পায় প্রথম বের হওয়া ত্রিপত্রক পাতায়। গ্রীষ্মকালীন মুগে এদের আক্রমণের তীব্রতা অনেক বেশি হয়ে থাকে। আক্রান্ত পাতা কুঁকড়ে উপরের দিকে বাঁকিয়ে যায়।  প্রাথমিক অবস্থায় দমনব্যবস্থা না নিতে পাড়লে চারার বৃদ্ধি দারুণভাবে ব্যাহত হয় এবং ফলন মারাত্মকভাবে কমে যেতে পারে।
দমন ব্যবস্থাপনা
আঠাযুক্ত নীল, হলুদ অথবা সাদা ফাঁদ ব্যবহার করে থ্রিপসের আক্রমণের তীব্রতা কমানো যায়। 
আক্রমণের শুরুতে জৈব বালাইনাশক যেমন- বায়োম্যাক্স এম ১.২ ইসি প্রতি লিটার পানিতে ১ মিলি হারে মিশিয়ে স্প্রে করে নিয়ন্ত্রণ করা যায়। 
মারাত্মক আক্রমণে অন্তর্বাহী গুণসম্পন্ন ডাইমেথয়েট জাতীয় কীটনাশক যেমন- টাফগর ৪০ ইসি প্রতি লিটার পানিতে ২ মিলিলিটার হারে মিশিয়ে স্প্রে করতে হবে ১০ দিন পরপর ৩ বার। 
জাবপোকা 
 জাবপোকা নাসপাতিসদৃশ ছোট আকারের পোকা, লম্বায় ২.০-২.৫ মিলিমিটার। পূর্ণবয়স্ক জাবপোকা উজ্জ্বল কালো রংয়ের কিন্তু নিম্ফ (বাচ্চা) ফিকে নিলাভ ধূসর বর্ণের। এরা পাকাযুক্ত ও পাখাবিহীন উভয় ধরনের হতে পারে। জাবপোকা ফসলের চারা অবস্থা থেকে শুরু করে পরিপক্ব হওয়ার পূর্ব পর্যন্ত যেকোন সময় আক্রমণ করতে পারে। সাধারণত পুষ্পায়ন দশা থেকে বীজের বৃদ্ধি পর্যায় পর্যন্ত এদের আক্রমণ বেশি পরিলক্ষিত হয়। তবে চারা ও বাড়ন্ত গাছেও এদের আক্রমণ হতে পারে। এরা পাতা, ডগা, কা-, ফুল ও ফলকে আক্রমণ করে সেখান থেকে রস চুষে খায়। পাতা, ডগা ও কা-ে আক্রমণের ফলে গাছের বৃদ্ধি ব্যাহত হয় এবং গাছ বিকৃত ও খর্বাকৃতির হয়। পুষ্পমঞ্জরি ও ফুলে আক্রমণ হলে সেগুলো নষ্ট হয়ে যায় এবং ফলধারণ হয় না বা খুব কম হয়। পডে (ফল) আক্রমণ হলে পড বিকৃত হয়ে যায় এবং বীজের আকার খুব ছোট হয়ে ফলন মারাত্মকভাবে কমে যেতে পারে। জাবপোকা নিঃসৃত মধুরসে শুটিমোল্ড ছত্রাকের সংক্রমণ হয় এবং পাতার উপর কালো প্রলেপ পড়ে গাছের সালোকসংশ্লেষণ প্রক্রিয়া ব্যাহত হয় এবং গাছ দুর্বল হয়ে ফলন কমে যায়। এ ছাড়াও জাবপোকা বিভিন্ন ভাইরাস রোগের বাহক হিসেবে কাজ করে অসুস্থ গাছ থেকে সুস্থ গাছে ভাইরাস রোগ ছড়িয়ে ক্ষতি করে থাকে।
দমন ব্যবস্থাপনা
পরভোজী বন্ধুপোকা যেমন- লেডিবার্ড বিটল ও সিরফিড ফ্লাই ইত্যাদি জাবপোকাদের খেয়ে এদের দমনের সহায়তা করে বিধায়, প্রকৃতিতে বন্ধুপোকাদের সংরক্ষণে সজাগ থাকতে হবে। কেননা শস্যক্ষেতে এসব বন্ধুপোকাদের আধিক্য বেশি থাকলে এমনিতেই প্রাকৃতিকভাবে জাবপোকা নিয়ন্ত্রিত থাকে। 
জাবপোকার আক্রমণের শুরুতে নিমঘটিত কীটনাশক যেমন- বায়োনিম প্লাস ১ ইসি প্রতি লিটার পানিতে ১ মিলিলিটার হারে মিশিয়ে স্প্রে করে আক্রমণ নিয়ন্ত্রণে রাখা যেতে পারে। 
মারাত্মকভাবে জাবপোকা আক্রান্ত জমিতে ইমিডাক্লোরাপিড জাতীয় কীটনাশক যেমন- টিডো প্রতি লিটার পানিতে ১ মিলিলিটার হারে মিশিয়ে ১০ দিন পরপর ৩ বার স্প্রে করে আক্রমণ নিয়ন্ত্রণ করা যায়।  
বিছাপোকা 
পূর্ণবয়স্ক বিছাপোকা হলদে বাদামি বর্ণের মাঝারি আকারের (২.৫-৩.০ সেমি) মথ। এদের পাখায় কালো ফুটকি দাগ আছে। স্ত্রীমথ রাত্রে সক্রিয় থাকে এবং পাতার নিচে গাদা করে ৫০০-১০০০টি ডিম পাড়ে। ডিম ফুটে কীড়া বের হয়ে পাতায় একত্রে গাদাগাদি করে অবস্থান করে এবং পাতার সবুজ অংশ খেয়ে বড় হতে থাকে। আক্রান্ত পাতা জালের মতো হয়ে যায় এবং দূর থেকে দেখেই সেটা চেনা যায়। কীড়া ছোট অবস্থায় প্রথম ৩টি দশায় পাতায় গাদাগাদি করে থাকে কিন্তু বড় হলে অর্থাৎ চতুর্থ ও পঞ্চম দশায় সমস্ত ক্ষেতে ছড়িয়ে পড়ে এবং পাতা খেয়ে ব্যাপক ক্ষতি সাধন করে থাকে। এদের মারাত্মক আক্রমণে গাছ পাতা শূন্য হয়ে মারা যায়। বিছাপোকা সাধারণত বৃষ্টিবহুল মৌসুমে ডাল ফসলের জন্য একটি মারাত্মক ক্ষতিকারক পোকা।
দমন ব্যবস্থাপনা
ডিমগাদা এবং গাদাগাদি করে থাকা ছোট কীড়াসহ পাতা সংগ্রহ করে ধ্বংস করে অনায়াসেই এই পোকা দমন করা যায়।
জমিতে ডাল বা কঞ্চি পুঁতে পোকাভোজি পাখি বসার ব্যবস্থা করে পোকার সংখ্যা কমানো যায়।
মারাত্মকভাবে আক্রান্ত জমিতে সাইপারমেথ্রিন (যেমন- কট্ ১০ ইসি) অথবা ল্যামডা সাইহ্যালোথ্রিন (যেমন- ক্যারাটে ২.৫ ইসি) প্রতি লিটার পানিতে ১ মিলিলিটার হারে মিশিয়ে মাসে ৩ বার স্প্রে করে বিছাপোকার আক্রমণ নিয়ন্ত্রণ করা যায়।
পাতা মোড়ানো পোকা 
পাতা মোড়ানো পূর্ণাঙ্গপোকা বাদামি বর্ণের বড় আকৃতির মথ। স্ত্রীমথ রাতের বেলা পাতায় ডিম পাড়ে। ডিম ফুটে বের হওয়া ছোট কীড়াগুলো বিবর্ণ সবুজ বর্ণের এবং কালো মাথা বিশিষ্ট হয়। পোকার কীড়া জালবুনে পাতা মুড়িয়ে ভেতরে বাস করে এবং ঐ পাতাটির সবুজ অংশ খেয়ে ফেলে। মোড়ানো পাতা এবং সেই পাতায় পোকার বিষ্ঠা দেখে এদের উপস্থিতি শনাক্ত করা যায়। এদের মারাত্মক আক্রমণে আক্রান্তপাতা শুকিয়ে যায় এবং বর্ধনশীল গাছের বৃদ্ধি দারুণভাবে ব্যাহত হয় এবং ফলন কমে যায়।
দমন ব্যবস্থাপনা
মোড়ানো পাতা হাতদিয়ে সংগ্রহ করে ভেতরের কীড়া ধ্বংস করে পোকার সংখ্যা কমানো যেতে পারে।
আক্রমণের শুরুতে ক্লোরোপাইরিফস ও সাইপারমেথ্রিন এর মিশ্রণ কীটনাশক যেমন- নাইট্রো ৫০৫ ইসি প্রতি লিটার পানিতে ১ মিলিলিটার হারে মিশিয়ে স্প্রে করে পাতা মোড়ানো পোকার আক্রমণ নিয়ন্ত্রণ করা যায়।
সাদামাছি 
পূর্ণবয়স্ক সাদামাছি প্রায় ১ মিলিমিটার লম্বা, সাদা পাখা বিশিষ্ট নরমদেহী  এবং দেহ মোমসদৃশ্য সাদা পাউডারে আবৃত। পূর্ণবয়স্ক পোকা ও নিম্ফ উভয়েই পাতা থেকে রস চুষে খায়। এতে পাতার সজীবতা কমে যায় এবং গাছ দুর্বল হয়ে পড়ে। এদের নিঃসৃত মধুরসে পাতার উপর শুটিমোল্ড ছত্রাক জন্মে গাছের খাদ্য তৈরি বিঘিœত হয়। সাদামাছি সবচেয়ে ক্ষতি করে হলুদ মোজাইক রোগ সৃষ্টিকারী ভাইরাসের বাহক হিসেবে কাজ করে। এরা ভাইরাসযুক্ত অসুস্থ গাছ থেকে রস খেয়ে যখন আবার সুস্থ গাছের রস খায় তখন এদের লালার মাধ্যমে সুস্থ গাছে ভাইরাস সংক্রমিত হয়। হলুদ মোজাইক ভাইরাস রোগের কারণে মুগ ও মাসকলাইয়ের ফলনে ব্যাপক ক্ষতি হতে পারে। তবে সুখের কথা এই যে, বারি মুগ-৬ এবং বারি মাস-৩ ও বারি মাস-৪ জাতগুলোতে হলুদ মোজাইক ভাইরাস রোগের প্রতি সহনশীলতা রয়েছে। 
দমন ব্যবস্থাপনা
বিকল্প পোষক হিসেবে বিশেষ করে মুগ ও মাসকলাইয়ের জমিতে বা তার আশেপাশে থাকা বিভিন্ন আগাছা যেমন- বনমরিচ, শিয়ালমূত্রা ইত্যাদি যেন না থাকে সেদিকে অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে। 
আঠালো হলুদ ফাঁদ ব্যবহার করে পোকার সংখ্যা কমানো যেতে পারে। 
আক্রমণের মাত্রা কম থাকলে বায়োম্যাক্স এম ১.২ ইসি (১ মিলি/লিটার), ডিটারজেন্ট মিশ্রিত পানি (২ গ্রাম/লিটার) অথবা নিমবীজ নির্যাস (৫০ গ্রাম/লিটার) স্প্রে করা যেতে পারে। 
আক্রমণের মাত্রা বেশি হলে অ্যাসিটামিপ্রিড জাতীয় কীটনাশক যেমন- তুন্দ্রা ২০ এসপি প্রতি লিটার পানিতে ০.৫ গ্রাম হারে মিশিয়ে স্প্রে করে সাদামাছির আক্রমণ নিয়ন্ত্রণ করা যায়।
ফুলের থ্রিপস্
ফুলের থ্রিপস ছোট চুরুট আকৃতির বাদামি থেকে কালচে রঙের সরু পাখাযুক্ত পোকা, লম্বায় ১.৫-২.০ মিলিমিটার। প্রাপ্ত ও অপ্রাপ্ত বয়স্ক উভয় থ্রিপসই ফুলের কুঁড়ি ও ফুল থেকে রস শোষণ করে খায় এমনকি এরা পরাগরেণুও খেয়ে ফেলে। ফলশ্রুতিতে মারাত্মক আক্রমণে কুঁড়ি ও ফুল শুকিয়ে ঝরে পড়ে এবং ফলধারণ দারুণভাবে কমে যেতে পারে। বর্ধনশীল পডও এদের আক্রমণে বিকৃত হয়ে যায়। গ্রীষ্মকালীন ডাল ফসল যেমন- মুগ, মাসকলাই ও অড়হরের উৎপাদনশীলতায় ফুলের থ্রিপস পোকার আক্রমণ অন্যতম প্রধান সমস্যা। শুষ্ক ও গরম আবহাওয়ায় এদের দ্রুত বংশবৃদ্ধি ঘটে। বাহ্যিকভাবে এদের আক্রমণ তেমনটা বোঝা যায় না। সাদা কাগজের উপর ফুটন্ত ফুল ছিড়ে এদের উপস্থিতি শনাক্ত করা যায় এবং সেটা করতে গেলে এরা বিরক্ত হয়ে উড়ে পালায়।
দমন ব্যবস্থাপনা
আঠাযুক্ত নীল, সাদা ও হলুদ ফাঁদ ব্যবহার করে পোকার সংখ্যা কমানো যেতে পারে। 
উদ্ভিদজাত কীটনাশক যেমন- নিমবীজ/নিমপাতা/তামাক পাতার নির্যাস ব্যবহার করা যেতে পারে।
আক্রমণের মাত্রা বেশি হলে (গড়ে একটি ফুলে ৪টি বা বেশি পোকা থাকলে) ইমিডাক্লোপ্রিড জাতীয় কীটনাশক যেমন- ইমিটাফ ২০ এসএল প্রতিলিটার পানিতে ০.৫ মিলিলিটার হারে মিশিয়ে স্প্রে করতে হবে। গবেষণায় দেখা গেছে বারি মুগ-৬ এর ক্ষেত্রে শতকরা ১০০ ভাগ গাছে ফুল আসলে অর্থাৎ বপনের ৩৩-৩৫ দিন পর ১ টি স্প্রে এবং শতকরা ১০০ ভাগ গাছে ফল আসলে অর্থাৎ বপনের ৪০-৪২ দিন পর আর একটি স্প্রে দিয়ে ফুলের থ্রিপস্রে আক্রমণ কার্যকরী ও লাভজনকভাবে নিয়ন্ত্রণ করা যায়।
ফুল ও ফল ছেদক পোকা 
তিনটি প্রজাতির ফুল ও ফল ছেদক পোকা যেমন- গধৎঁপধ ারঃৎধঃধ , ঊঁপযৎুংড়ঢ়ং পহবলঁং ধহফ ঐবষরপড়াবৎঢ়ধ ধৎসরমবৎধ মুগ ও মাসকলাই ফসলে আক্রমণ করে থাকে। স্ত্রীমথ রাতের বেলা পাতার নিচের পৃষ্ঠে, ফুলের কুঁড়িতে এবং মাঝেমধ্যে ছোট কচি ফলে এককভাবে অথবা ২-১০টি সাদা স্বচ্ছ ডিম পাড়ে। ডিম ফুটে ৩-৪ দিন পর কীড়া বের হয় এবং ৫টি দশার মাধ্যমে কীড়াধাপ সম্পন্ন করে। পোকার কীড়া কচি ডগা, ফুলের কুঁড়ি, ফুল ও ফলে আক্রমণ করে থাকে। এরা ফুলের কুঁড়ি ও ফুটন্ত ফুলকে মুড়িয়ে খেয়ে নষ্ট করে ফেলে। এছাড়া ফল ধরা শুরু করলে ফলের মধ্যে বর্ধনশীল বীজকে খেয়ে ফেলে। এদের মারাত্মক আক্রমণে ফুল ও ফল উভয়ই নষ্ট হয়ে যায় এবং ফলন দারুণভাবে ব্যাহত হয়। এরা পুষ্পায়ন ও ফলধারণ অবস্থায় সবচেয়ে মারাত্মক ক্ষতিকারক পোকা। 
দমন ব্যবস্থাপনা
গাছের সক্রিয় বৃদ্ধিপর্যায় থেকে ফসল সংগ্রহ পর্যন্ত ফেরোমন ফাঁদ ব্যবহার করে পুরুষ মথকে ধরে স্ত্রী মথের সাথে মিলিত হতে না দিয়ে সহজেই ফলছেদক পোকার আক্রমণ কমানো যেতে পারে। 
হাত বাছাইয়ের মাধ্যমে কীড়ার সংখ্যা কমানো যেতে পারে। 
ক্ষেতে ডাল-পালা ও কঞ্চি পুঁতে পতঙ্গভুক পাখী (শালিক, ফিঙ্গে ইত্যাদি) বসার ব্যবস্থা করা যেতে পারে।
ফলছেদক পোকার ডিম ও কীড়া নষ্টকারী পরজীবী পোকা যেমন- ট্রাইকোগ্রামা ও ব্রাকন মুক্তায়িত করা যেতে পারে। 
আক্রমণের মাত্রা মারাত্মক মনে হলে ক্লোরানট্রানিলিপ্রোল (কোরাজেন ১৮.৫ এসসি) প্রতি লিটার পানিতে ০.৫ মিলি হারে মিশিয়ে অথবা থায়ামিথক্সাম+ক্লোরানট্রানিলিপ্রোল এর মিশ্রণ কীটনাশক  যেমন- ভিরতাকো ৪০ ডব্লিউ জি প্রতি লিটার পানিতে ০.১৫-০.২০ গ্রাম হারে মিশিয়ে স্প্রে করে ফলছেদক পোকার আক্রমণ নিয়ন্ত্রণ করা যায়।
 
লেখক : মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা, ডাল গবেষণা কেন্দ্র ও আঞ্চলিক কৃষি গবেষণা কেন্দ্র, বিএআরআই, ঈশ্বরদী, পাবনা। মোবাইল : ০১৭২৫-০৩৪৫৯৫,E-mail: hossain.draltaf@gmail.com

COVID19 Movement Pass Online Police Clearance BD Police Help line Expatriate Cell Opinion or Complaint NIS Bangladesh Police Hot Line Number Right to Information PIMS Police Cyber Support for Women BPWN Annual Training Workshop Achievement & Success PHQ Invitation Card
Press Release Recruitment Information Procurement / Tender Notice Legal Instrument Innovation Corner Detective Magazine Bangladesh Football Club Diabetes-Covid19 Exam Results Accident Info Important Forms

Apps

icon icon icon icon icon icon